গবেষণা কী
সুনির্দিষ্ট এক বা একাধিক গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ করে কোনো সীমায়িত বিষয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা সত্য আবিষ্কার করে জ্ঞানের শূন্যতা পূরণ করাই বস্তুত গবেষণা । গবেষণাকর্ম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি লাভের জন্য হতে পারে, আবার যুক্তিপূর্ণ কোনো রচনা সৃষ্টির জন্য হতে পারে কিংবা সুচিন্তিত প্রকাশনার জন্যও হতে পারে। যে প্রেক্ষাপট বা উদ্দেশ্যেই গবেষণা সম্পন্ন হোক না কেনো, মান সম্পন্ন গবেষণাকে নিবেদিত কর্ম, বস্তুনিষ্ঠ তথ্য, প্রতিষ্ঠিত জ্ঞানের প্রাসঙ্গিক প্রয়োগ, নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ, যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত ইত্যাদির সমন্বিত ফল হতে হয় ।
আদর্শ গবেষণাই জ্ঞানের শূন্যতা পূরণ করে, নতুন জ্ঞান সৃজন করে এবং মানুষের বিভিন্ন সমস্যা বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য সমাধান নির্ধারণ করে। তাছাড়া, গবেষণা জ্ঞান জগতের দিগন্তকে প্রসারিত ও বিস্তৃত করে অনাগত জ্ঞান সৃজনের সম্ভাবনা তুলে ধরে। গবেষণার পথ ধরেই ব্যক্তি মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্র জাগতিক সমস্যাসমূহের বাস্তবভিত্তিক ও যুক্তিপূর্ণ সমাধান আবিষ্কার করতে পারে। আর গবেষণা প্রাসঙ্গিক সকল বিষয়কে একীভূত করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথে পরিচালিত হয় বলে গবেষণার যৌক্তিক প্রক্রিয়ায় যে কোনো সমস্যার প্রকৃত সমাধান লাভ হতে পারে ।
সালেক শিবলু, এমফিল গবেষক, বাংলা বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর