রাজা গোপাল এর পরিচয় দাও।
রাজা গোপাল এর বংশ পরিচয়: গোপালের বংশ পরিচয় সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। গোপালের পিতার নাম ব্যাপট এবং পিতামহ ছিলেন দয়িতবিষ্ণু। তাদের নামের আগে কোন রাজকীয় পদবি দেখা যায় না। দয়িতবিষ্ণু সম্পর্কে উলে¬খ আছে যে, তিনি সর্ববিদ্যায় বিদুষী ছিলেন। গোপালের স্ত্রী রাণী দেদ্দাদেবী ছিলেন ভদ্র রাজবংশের কন্যা। অনুমান করা হয় যে, গোপাল রাজবংশে বিয়ে করায় সিংহাসনে আরোহন করা তার জন্য সহজ হয়েছিল। খালিমপুর লিপিতে তাকে ‘ভদ্রাত্নজা’ বলা হয়েছে। সন্ধ্যাকর নন্দী রচিত ‘রামচরিত’ কাব্যের প্রথম সর্গের চতুর্থ শে¬াকে পালরাজাদের ‘সমুদ্রকুলদীপ’ অর্থাৎ সমুদ্র হতে উদ্ভুত বলা হয়েছে। গোপাল ও পাল রাজারা বৌদ্ধ ছিলেন এ সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই। তবে গোপালের পিতা ও পিতামহ বৌদ্ধ ছিলেন কিনা এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তিব্বতীয় গ্রন্থ হতে জানা যায় যে, গোপাল নালন্দায় একটি বৌদ্ধ বিহার স্থাপন করেন। ভারতের অন্যত্র যখন বৌদ্ধ ধর্ম ক্ষীণ হয়ে আসে, তখন বাংলাদেশ ও বিহারে বৌদ্ধ ধর্ম অনেক প্রভাবশালী । গোপালকে পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।
ড. রমেশ চন্দ্র মজুমদার তাঁর ‘বাংলাদেশের ইতিহান প্রাচীন যুগ’ গ্রন্থে বলেন যে, গোপাল ৭৪০ হতে ৭৫০ সালের মধ্যে রাজা নির্বাচিত হন এবং আনুমানিক ৭৫০ সালে তার মৃত্যু হয়।
রাজা গোপাল
সালেক শিবলু, এমফিল গবেষক, বাংলা বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর