বাংলা বানান এর ই-কার ব্যবহারের নিয়মগুলো লেখ।
বাংলা বানানে ই-কার ব্যবহারের উল্লেখযোগ্য নিয়মগুলো নিম্নরূপ:
০১. অ-তৎসম শব্দে ই-কার হয়। যেমন : গাড়ি, বাড়ি, ছুঁড়ি, বুড়ি ইত্যাদি।
০২. ক্রিয়াবাচক শব্দে ই-কর ব্যবহৃত হয়। যেমন: বলি, চলি, দেখি, শিখি ইত্যদি।
০৩. স্ত্রীবাচক অ-তৎসম শব্দে ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : মাসি, পিসি, মামি, ভাবি।
০৪. ভাষার ক্ষেত্রে ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন: ফারসি হিন্দি, আরবি, ইত্যাদি।
০৫. জাতির ক্ষেত্রে ই-কার ব্যবাহৃত হয়। যেমন : বাঙালি, তুর্কি ইরান্।
০৬. পেশা ও কর্মবাচ্য শব্দে ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : মাস্টারি, ডাক্তারি, ডাকাতি, কেরানি, ইত্যাদি।
০৭. ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাসের ক্ষেত্রে ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : ঢলাঢলি, গলাগলি, বলাবলি ইত্যাদি।
০৮. প্রাণিবাচক অ-তৎসম শব্দে ই-কার হয়। যেমন: বেজি, হাতি, তিমি, মুরগি ইত্যাদি।
০৯. বস্তবাচক শব্দে ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : সুজি, চারি কর্লাস, আলমারি ইত্যাদি।
১০. ‘আলি’ প্রত্যয় যুক্ত শব্দে ই-কার হয়। যেমন : সোনালি, রূপালি, মিতালি, হেয়ালি প্রভৃতি।
বাংলা বানানে ই-কার
১১. সংখ্যাবাচক শব্দে ই-কার হয়। যেমন : বিশ, ত্রিশ, চল্লিশ ইত্যাদি।
১২. ‘ইমা’ প্রত্যয় যুকত শব্দের মধ্যাংশে ই-কার হয়। যেমন : মহিমা, কালিমা, লালিমা, দ্রাঘিমা ইত্যাাদি।
১৩. ‘ইক’ প্রত্যয় যুক্ত শব্দের মধ্যাংশে ই-কর হয়। যেমন : অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক প্রভৃতি।
১৪. ‘আনি’ প্রত্যয় যুক্ত শব্দে ই-কার হয়। যেমন : শুনানি, নিড়ানি, উড়ানি, চালানি প্রভৃতি।
১৫. ‘তি’ প্রতয় দ্বরা বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ গঠিত হলে ই-কর হয়। যেমন : উঠতি, বাড়তি, ঘাটতি, কাটতি প্রভৃতি।
১৬. ‘ইত’ প্রত্যয় যুক্ত শব্দে ই-কার হয়। যেমন : পুষিপত, পল্লবিত, নিদ্রিত প্রভৃতি।
১৭. ‘ইল’ প্রত্যয়যুক্ত শব্দের মধ্যাংশে ই-কার হয়। যেমন : জটিল, কুটিল, পঙ্কিল, সপিল ইত্যাদি।
১৮. পদাশ্রিত নির্দেশন ‘টি’ তে ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : বইটি, লোকটি, মেয়েটি ইত্যাদি।
১৯. বিদেশি শব্দের বানানে সাধারণত ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : পুলিশ, গরিব, মিস্টার, ইস্টার প্রভৃতি।
২০. বহুল ব্যবহৃত কতিপয় শব্দে সর্বদাই ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : প্রসূতি, অঞ্জলি, রাশি ভূমি ইত্যাদি।